Wednesday, September 26, 2012

১৭



আঁধার কাকের গল্প ঘোরে
ধূপনগর ললাটে
আঁধার কাক যে গল্প করে
জেটবিমানের হাটে

সারি সারি অপেক্ষারই শরীর
এবার সবাই বোধের ভেতর বধির
বধির হয়েই স্বপ্ন বুনছে কালো
এবং এরাই বাসছে আবার ভালো;

ভালোবাসায় ফুলের বাগান খালি
ফসিল হয়েই যাচ্ছে মিশে মালী

আঁধার কাক যে গল্প করে
জেটবিমানের হাটে
আঁধার কাকের গল্প ঘোরে
ধূপনগর ললাটে

মালীর বাড়ির দেয়াল ধ্বসে পড়ে
রাজার বাড়ির কুকুর গাড়ী চরে
গাড়ীর ভিড়েই পাচ্ছে খিদে ওদের
খিদের বানান ভুল হয়ে যায় যাদের
ইটের দালান ঝলমলে এই রাতে
দুখের বাখান ছাপ ফেলে যায় চাঁদে

আঁধার কাক যে গল্প করে
জেটবিমানের হাটে
আঁধার কাকের গল্প ঘোরে
ধূপনগর ললাটে
নিয়ন বাতি বুকের বোতাম খোলে
বুকের বোতাম ভোরের কেচ্ছা বলে
ভোরের চুলে আকাশ মেলছে ডানা
কাকের দলে ভোরের ভিড়তে মানা

১৬

নীল ডিম, তোমাকে তিরস্কার

আমাকে আমার মত থাকতে দিলেই
আকাশে অসহ্য রোদ
আমাকে আমার মত থাকতে না দিলেই
আকাশে অসহ্য মেঘ আর
যৌবনের বার্বিক্যু;
বার্ধক্য যদি নিতেই হয়, ছিঁড়ে নেবো তিক্ততর ফল
তীব্রতর ঝাল
অর্বাচীনপাল থেঁতলে দেয়া
শিলালিপি হবে প্রতিটি বিকাল

একটু... একটু... একটু...
তার পাঁজরে ছায়া দেয় বিশাল এক গোল টুপি
চশমার তাকে তাকে নানান সমুদ্রের জল
নিজস্ব হ্রদের ধারে ঝিমায় বুড়ো হাঁস
পৃথিবীতে বিকাল আসে
প্রেতজীবনের ইশতেহারে
সকাল-সন্ধ্যা-শেষরাতে
আমরা দেখেছি
ইস্পাতের ফুল
দাবার খেলায় একে অন্যের শোচনীয় হার

অবশেষে আমার ফেরা
সরল সূর্যোদয় কপালে রাখে হাত
বাম-বুক উড়ে যায়
এ ভার কবেকার আরাম ।
 
 
 
 

১৫

অনাবাদী দিনে
একটি ভাবনা 
মেঘ-বৃষ্টির কুয়াশাকে -
নিভন্ত ধার
বাড়ন্ত ভর
সূর্যাস্তের সই
সূর্যাস্তেই সই

জীওণে মরণে দুই তিন চার
ক্লান্তি দেবো উনিশ বিশ একুশ
এখন হয়তো সময়গুলো গুণতে পারি
করি না তো এর বেশি আশা

 
 

১৪


বিমূর্ত চাঁদ, বিমূর্ত পৃথিবীর তরে
এক মুহূর্তে আলোর বাগান
তার প্রাচীন সাহসী কেশ
তিস্তা তার নাম

Sunday, September 9, 2012

১৩



অনেক ঝড়ের রথ, খুঁজে দেবে বুঝি পথ
পথের ধুলোরা কই, উড়ে উড়ে উড়ে, দূরে দূরে দূরে
অনেক ভোরের দাগ, মেখে সব সাদা কাক
কাকের বেদনা নেই, উড়ে উড়ে উড়ে, দূরে দূরে দূরে
অনেক ঢেউয়েতে ভেসে গেছে যত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম

অনেক দিনের পর, খুঁজে পাব বুঝি ঘর
ঘরের ঠিকানা নেই, ঠিকানা মানেতো কালো কালো কালো
কালো আকাশের দিন, কত না রঙে রঙিন
রঙিন শিশুরা নেই, ছেড়ে চলে গেছে অভিমানে সরে


দিনেরা রাতকে খায়, আলোছায়া বদলায়
অনাহারে মরে কুকুরের দল, শকুনের দল ভারী চঞ্চল
শকুনেরা মরে যায়, শকুনেরা কুরে খায়
দ্বিধা দ্বন্দ্বের কাল, নিশ্বাস ভরা জাল
দাম দিয়ে কেনা প্রতিটি সকাল, প্রতিটি বিকাল, রাত

অনেক দলিলে সই, চুক্তিতে হইচই
ঘরের দরোজা কই, ঘরের জানালা নেই
ছাদ উড়ে গেছে চাঁদের দেশে
মেঝেতে মাইন, দেয়াল বিলীন
ছাদ উড়ে গেছে চাঁদের দেশে
মেঝেতে মাইন, দেয়াল বিলীন
অনেক ঝড়ের রথ, খুঁজে দেবে বুঝি পথ
পথের ধুলোরা কই, উড়ে উড়ে উড়ে, দূরে দূরে দূরে
দূরে... দূরে... দূরে...

Thursday, September 6, 2012

১২



প্রতীক্ষারা নরম জলে লেখে কার নাম
বাউণ্ডুলে মেঘের দলে মিশে গেলাম
ভীনদেশী মেঘ শুক-সারি-সুখ এঁকে যায় গায়
প্রতীক্ষা সব চুল উড়িয়ে ডাকে আয় আয়



চাঁদের কে খোঁজ রাখে রোজ রোজ
তারাদের ঘুম পাখিদের ভোজ
মেঘের খাতায় পৃথিবীর নাম
যত অভিমান যত বদনাম


কাল কেটে মহাকাল
নীল-লাল খেয়াপাল
পরিযায়ী পাখিদের পালকের লাল
মেঘময় রোদেলা বিকাল


মেঘের চিবুক আলো করে যায় সারসের দল
ডানার আঁচল বিছিয়ে যায় টুপটাপ জল
প্রতীক্ষাদের নরম জলে লিখে যাওয়া নাম
বাউণ্ডুলে খেলার ছলে ঝরে পড়লাম


প্রতীক্ষারা নরম জলে লিখে গেল নাম
বাউণ্ডুলে মেঘের দলে ঝরে পড়লাম
ভীনদেশী মেঘ শুক-সারি-সুখ এঁকেছিল গায়
প্রতীক্ষা সব চুল উড়িয়ে ডেকেছিল আয়
  

Wednesday, August 29, 2012

১১



ভোরের বাতাস
স্বপ্ন থমকে যায়
আঁধার নীলের
ওই ধ্রুবতারায়
হৃদয় বাজে
ভুলে থাকা সুর
ঘাসের কাঁধের
শিশির সুমধুর

ধীরে ধীরে
এসে যাবে রোদ
জীবন যাপন
মধুর প্রতিশোধ
সময় সময়
ছুটে ছুটে যায়
মানুষ কেবল
হারায় হারায়

রাশি রাশি নিঃশ্বাস
রাশি রাশি ঘুমের আওয়াজ
শহর ঘুমায় আজ
শহর ঘুমায় আজ

ভোর ডাক দিয়ে যায় ঘর ছাড়ার
ভোর হাতছানি দেয় ঘর ফেরার
স্বপ্নের মেঠোপথে
স্বপ্নের ধানখেতে
স্বপ্নীল নদীতীরে
স্বপ্নের বিছানায়

জেগে রেগে ওঠে
প্রযুক্তির ঘোড়া
রেগে বেঁকে ওঠে
বিনোদনের পংকিলতা
বক্ররেখা ভাললাগা
দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-ভালবাসা
শরীরে শরীরে দাগ
মনে কুয়াশা

ভেতরে ভেতরে পুড়ে জমে ওঠা ব্যথা
না-বলা না-বলা কত থেকে যাওয়া কথা

কিছু কিছু পাখি ডাকে, মরে ঝরে যায়
বিষণ্ন শহরের খরচের পাতায়
জটিল সুখের তোড়া কিনতে পাওয়া যায়
সহজ স্বপ্নগুলো, কোথায় গেল হায়


Tuesday, August 28, 2012

১০



রাজার নগর পুড়ে যায়
রাজার জীবন উড়ে যায় 
হালখাতা জুড়ে হৈচৈ
রাজার হিসেব গেল কৈ

যন্ত্ররা হেঁটে হেঁটে যায়
নগরের মুখ বদলায়

পিলপিল সুর তোলে নগরীর সব মহারাজ
পিলপিল সুর তোলে নগরীর সব মহারাজ

দুপুরের পর পেলে অবসর
বাসের ভেতর মেনে নেয়া ঘর,
মেঘ বদলায় মেঘের ছোঁয়ায়
ধুলোড়ে আকাশ তারও ক্ষিদে পায়,

বিলবোর্ড ফের সাজে সিগনাল স্টপ,
কোকের বোতল আর চেনা আলুচপ,

বাতাসে এখন পপকর্ণ

বাস থেমে যায় যে যখন

চেনা রোদে হাঁসফাঁস নগরীর সব মহারাজ
চেনা রোদে হাঁসফাঁস নগরীর সব মহারাজ


বিকেল ফুরোয় নিয়নের জয়
সুখহাওয়াদের সাথে রোজ দেখা হয়
দালানের ভীড় ফুঁড়ে ঠাণ্ডা আকাশ
এভাবেই চাঁদ তুই বাড়ি ফিরে পাস


চকচকে কাক তার ঝাঁঝাঁলো ডানায়
চাঁদকে লাগিয়ে উড়ে যায়,
যেতে যেতে নীল ট্রেন
তুমুল গতিতে হেসে
সশব্দ সুখ দিয়ে যায়,
বাতাসে আবার আলোড়ন
ঘড়িতে কাঁটার আয়োজন
 

চেনা সুখে হাঁসফাঁস নগরীর সব মহারাজ 
চেনা সুখে হাঁসফাঁস নগরীর সব মহারাজ  

রাজার নগর পুড়ে যায়
রাজার জীবন উড়ে যায় 
হালখাতা জুড়ে হৈচৈ

রাজার হিসেব গেল কৈ


যন্ত্ররা হেঁটে হেঁটে যায়
নগরের মুখ বদলায়

একঘেয়ে সুর তোলে নগরীর সব মহারাজ
একই একই সুর তোলে নগরীর সব মহারাজ
 

Friday, August 24, 2012



এলোমেলো রঙ দাও দেয়ালে
তারা নেভা ঝিমঝিম সকালে
সিঁড়ি সিঁড়ি পাল্টায় জানালা
এলোমেলো রঙ ভোরবেলায়

রঙ দাও রঙ দাও
পথে পথে
রঙ ছড়িয়ে দাও
হৃদয় থেকে হৃদয়ে
ক্ষতি নেই লাভ নেই লাভের হিসেব
দূরে তারায় মিলায়
এলোমেলো রঙ দাও দেয়ালে
তারা নেভা ঝিমঝিম সকালে

ঐ ছোঁয়া দিয়ে যায়
ঐ ছোঁয়া দিয়ে যায়
পথের ধুলো
পথের হাওয়া
পথের ধুলো
পথের হাওয়া
বুকপকেটে রাখা করুণ চাওয়াটির
উড়ে যাওয়া

এলোমেলো রঙ দাও দেয়ালে
তারা নেভা ঝিমঝিম সকালে
সিঁড়ি সিঁড়ি পাল্টায় জানালা
এলোমেলো রঙ ভোরবেলায়

প্রতিনিধি তার নিয়াছে বিদায় এবং মধ্যরাত
স্বপ্নে বাতাস খেজুর গুড়ের দাগ
স্রোতহারা নদী আয়নার মত দেখায় বুকের ভাগ
পথে পথে সখা গলে গলে মিশে লিখেছে আর্তনাদ

বহুমুখী কেশ বিদ্যুতে বাঁধে বাসা
ছোটগল্পের বন্দরে ভীড়ে বিষাক্ত প্রত্যাশা
ধর্মাবতার ঘণ্টা বানায় চিরবিশুদ্ধ কাঁসা
পুরাতন ভুল নির্ঘাৎ তার ফিরে গিয়ে ফিরে আসা

মানবিক পাখি সেতুময় হাসে স্বচ্ছ বেলুন হাতে
বেদনা জমায় তাতে
সুলভ অশ্রুপাতে
বাদাম ত্বকের নেশায় পাথর শরীরের অলিগলি
জমাট মদের জঠরে তলায় প্রাকৃতিক পদাবলী
শোকাকুল কিছু সুখশীৎকার
বংশ বোঝাই সু-কুলাঙ্গার
কার্যতালিকা জ্বলে অঙ্গার
প্রতারিত পাপ কাসুন্দী ঘাঁটে
তিন কাহনের রাজ্যপাটে
গাঢ় হয় মেঘ উনুনের পাশে
লোকালয় কাঁপে প্রিয় বিশ্বাসে
চকলেটে মোড়া বিপ্লব আসে
জং-ধরা দিন-রাতে
মানবিক পাখি সেতুময় কাঁদে স্বচ্ছ বেলুন  হাতে
ছলনা জমায় তাতে

বহুমুখী কেশ বিদ্যুতে বাঁধে বাসা
ছোটগল্পের বন্দরে ভীড়ে বিষাক্ত প্রত্যাশা
ধর্মাবতার ঘণ্টা বানায় ত্রাতা-সর্বনাশা
পুরাতন ভুল আলবৎ তার ফিরে গিয়ে ফিরে আসা

প্রতিনিধি তার নিয়াছে বিদায় এবং কৃষ্ণযুগ
স্বপ্নকে দেয় অভিসম্পাত যাবতীয় প্রতিমুখ
একা মৃত নদী আয়নার মত দেখায় ভবিষ্যৎ
পথে পথে সখা বৃথা গলে মিশে লিখে গেছে বাঁধা গৎ

Thursday, August 23, 2012

স্নায়ুতে পৃথিবীর ভার
অগণন রোদের স্কয়ার
কারুকাজে ব্যতিব্যস্ত সীমিত সাইক্লোন
পরিশীলিত স্পর্ধার স্পাইরাল বলে
বেআইনী উড্ডয়নে কিছু বিব্রত শব্দ লিখুন

অপ্রস্তুত বৃষ্টির ফোটা কেঁপে ওঠে
স্নানরতা পত্রিকার বিচিত্র অক্ষর
ভেসে যায় উনুনের পাড় আগুনের নাও
রুগ্ন মশালের ঠোঁটে কৌতুক
অলস আঙুল বাজে যাযাবর চড়ুই শরীরে

চর্বির দেয়াল ঘেঁষে মুদির দোকান
পাইকারী বাণিজ্যের অসংলগ্ন সারি
লোমকুপে শ্যাওলার দাগ
থেকে থেকে ব্যানার ঝুলে থাকে লোমের ডগায়

লোকালয়ে মৃত প্রাচীন বটগাছ আর তার সুগন্ধী ছায়া,
লুপ্তপ্রায় কাকের প্রতাপ

কতিপয় গোলকধাঁধাঁই সম্বল সর্বশেষ
কড়ি নাই, কড়ি চাই নাই

মাননীয় থৈ থৈ স্রোত
বিবর্ণ আমার কৈফিয়ত

আপনার পরিহাসে স্বপ্ন নিলামে
সাহসের দুর্ভিক্ষ ফোটে পূর্বে পশ্চিমে

নিরিবিলি পলায়ন
স্বাক্ষর বেনামে

রাজপথে বিবিধ আলো ছুটে যায়
নিরেট রেটিনার হতভাগ্য শরীর, মূদ্রারা নৃত্যরতা
অর্থময় সাহেববৃন্দ ছুটে যায়
বাণিজ্যের রেখা ঢেকে রাখে গুরুতর ক্ষত
একক পথশিশু, বহুগামী পুরুষ আর বহুমূখী বটগাছ
হাওয়াহীন কাঁচা রাত

সান্ত্বনার ব্যাণ্ডেজ চেপে রাখে সংকট সমূহ
অসহায় ঘাম হয় অপচয়
উরুতে উরুতে ভয়, সংশয়
ভুলে ভরা রাজপথ, নানাবিধ বর্ণে বর্ণিল

প্রান্তিক ত্রুটি প্রজন্ম আওড়ায় হতাশায়
বিশুদ্ধ বাতাস ক্রমে ক্রমে ব্যয়বহুল
টিক টিক পেকে ওঠে রাত
সভ্যতার ভয়ানক তাড়ায়

অপেক্ষা কক্ষে
বিমান উড়াই,
বায়ুর শরীরে স্বেদ
আমাদের বিচ্ছিন্ন নিরিবিলি রাত, সৌন্দর্য্যহীন
নির্জন সত্যের উপর ধুলোর সর, ভোগ্য গণিত
যোগ আথবা বিয়োগ

মামুলি এক ফিরিওলার মতোন হেঁটে যাই
কিছুটা অসম্পূর্ণ বাদুড়
দণ্ডিত রাডারে
অবস্থানটা চেপেচুপে তিন ইঞ্চিতে ছাপিয়ে দিল কেউ
তুমুল আলোড়ক জ্বিন পাল্টায় পটভূমি তার
ওদের দিরহাম, আমার মাংস কার্পেটে

তার সাথে মিট রমনির পত্রমিতালী হোক ভেবে
প্রভাতের খিচুড়ি মগজ স্থবির আন্ধারে বিলকুল কাশে
আমি পারি নাই তাসের খেলায় ঠিকঠাক ডাক
তার পাল্টানো টাওয়েল, আমি পারি নাই তাস, কাশ

মর্মান্তিক রাত, কাঁখতলে কয়েক টন ছাই
প্রবল প্রতাপে চিড় ধরা বাহুতে
ঝুর ঝুর তরঙ্গ ওঠে মাংসের ডমিনোতে
পতন ভালবাসি ভোরের চাইতেও
ভাঙন ভালবাসি
ভেঙে পড়তে ভালোলাগে
রক্তিম দাঙার পর আবেগ বুনব বলে খুঁজে চলি মামুলি মানুষ
ভেঙে পড়তে আজও ভালোলাগে

মন, পালিয়ে যাও আগুনরঙা ভোরে

সিদ্ধান্তগুলো সেলফোনে আসে

তার প্রিয় খরগোশ দুটি একটি আরেকটিকে ঘুমাতে না দেয়
সারি সারি বারান্দা বাইরে
সারি সারি বারান্দা বাইরে
বেহেশত বাতাস সব মশারির বাইরে
ঘুরে ঘুরে চলে যায় পাশের বাড়ি
প্রেতাত্মা নখগুলো পরম যত্নে কেটে খেয়ে যাচ্ছে
সিদ্ধান্তগুলো সেলফোনে আসে
এমন সময় ফেরেশতাদের হাতুড়ীর আওয়াজ শোনা যায়
চোখের সাদা জমিনে লাল লাল ভাইরাস
পানির বোতলে মদ, মদের গেলাসে চিঠি
আঁকাবাঁকা স্বরবর্ণেরা ব্যঞ্জন হয়ে যায়
প্রেতাত্মা নখগুলো খেয়ে যায় পুনরায়
সিদ্ধান্তগুলো সেলফোনে আসে
কাঁপার কথা সেলফোন, তবু সিদ্ধান্তগুলো যেহেতু আসে
তার প্রিয় খরগোশ দুটির একটি আরেকটিকে কামড়ে দুঃখ পায়
বেহেশত বাতাস সব মশারির বাইরে
জানলা দিয়ে অচেনা মানুষদের আঙুল দেখাবে
দাতে কাটা সুন্দর নখের আঙুল

আমার নীল কার্পেটটাকে আড়াআড়ি ধরে রাস্তা পার করে দাও,
আমার ঘুমের ভেতর এটা ভাল পারো
আমার এরপরও একটি সবুজ ত্রিভুজ জমা সিন্দুকে
কারও কারও জন্য অরিগ্যামি আছে
কেবল কার্পেটটাকে পার করে দাও, বিকেল থাকতে
ঘুম পাচ্ছে না, যাই
আমার ঘুম পায় না, আমি যাই
চার্লি শিন, বুড়ো হয়ে যাচ্ছে, যাই
এটা আমার শেষ বার হতে পারতো
জলের বর্তুলটা খুলে ফেলে কুলফির ফ্যাক্টোরিতে পাঠিয়ে দাও
এটাও সুন্দর

শরতের অবাক আকাশ
নমনীয় মেঘে নমনীয় রোদ
হাওয়া চুল ছোঁয় আর
প্রতিফলক চিবুক
ধারালো কিছু ঝিলে
একটি পঙ্গু প্রতিজ্ঞা
বারবার আর
মন দিতে অনিচ্ছে
কেননা অবসন্ন হওয়া যায়
কেননা চাঁদ জন্মায়
কিছুতেই কিছু যায় না
কিছুতেই কিছু আসে না